রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে শুক্রবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেওয়া ওই ঘটনার তিন মাস পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হলো। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত তরুণীকে চার উচ্চবর্ণের ব্যক্তি ধর্ষণ করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিল্লির হাসপাতালে ২০ বছরের ওই তরুণী মারা যান। চিকিৎসকেরা জানান, ওই নারীর মেরুদণ্ডসহ শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল। এছাড়া কেটে ফেলা হয় তার জিহ্বা। ওই দিন রাতেই পুলিশ তার দেহ সৎকার করে। অভিযোগ রয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জোর করে তার দেহ আত্মীয়দের থেকে কেড়ে নিয়ে যায়। পরিবারকে বাড়িতে আটকে রাখা হয়। কয়েকজন পুলিশকর্মী মিলে রাত আড়াইটায় তরুণীর দেহ পুড়িয়ে দেন। বিক্ষোভ এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে মনে করেন অনেকে।
পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআইকে। তিন মাসেরও বেশি সময় পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। হাতরাসের আদালতে শুক্রবার মামলার অভিযোগপত্র উপস্থাপন করেছে তদন্ত সংস্থা।
এই মামলায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের কারাগার থেকে পুলিশের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে দাবি করে তাকেসহ অপর তিন জনকে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তারা ন্যায়বিচার দাবি করে বলেন, মা এবং ভাইয়ের নির্যাতনে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। তবে ওই নারীর পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।